বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ রচনা


বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ রচনা
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ রচনা


ভূমিকা:

হাজার বছরের বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি এবং বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশের জনক। 

তার হাত ধরেই আমরা পেয়েছি আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি শাসকদের নিপীড়নের শিকার।

কিন্তু কোনো নেতাই বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই এই নিপীড়িত ও নিপীড়িত জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। 

শুধু তাই নয়, স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার পথও বলেছেন। 

আর তার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

এই ভাষণ বাঙালির জীবনে একটি মাইলফলক এবং এক অতুলনীয় মহাকাব্য সৃষ্টি।

ইতিহাস:

1947 সালে দ্বি-জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ব্রিটিশ শাসিত ভারত ভেঙে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্র তৈরি করা হয়। 

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পূর্ব বাংলার জনগণ পাকিস্তান রাষ্ট্রে যোগদান করে। 

পূর্ব বাংলার তখন নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। 

বাঙালি জাতি ভেবেছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রে আর ঔপনিবেশিক নিপীড়ন থাকবে না। 

কিন্তু তা হয়নি, কিছুদিন পর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর হিংস্র রূপ বাঙালিদের কাছে প্রকাশ পায়।

 এদেশের মানুষের প্রতিবাদকে চূর্ণ করার জন্য তিনি প্রথমে আঘাত করেন বাংলা মাতৃভাষার ওপর। 

তিনি ৫৬ শতাংশ মানুষের কথ্য ভাষা ছেড়ে উর্দুকে সরকারি ভাষা করার উদ্যোগ নেন। 


বোঝাই যাচ্ছে এদেশের মানুষের সংস্কৃতি ধ্বংসের খেলায় তারা যোগ দিয়েছে।

1948 সালে, গভর্নর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এক জনসভায় পাকিস্তানের পক্ষে ঘোষণা করেন, "উর্দু এবং শুধুমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।" 

কিন্তু তার সিদ্ধান্ত বাংলার মানুষ মেনে নেয়নি। তিনি এর তীব্র বিরোধিতা করেন। 

অবশেষে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হৃদয়ের রক্ত ​​দিয়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেন।

এরপর বাঙালি জাতি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের যোগ্য জবাব দেয়। 

কিন্তু বাঙালির এই বিজয় বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। 

আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি করে এদেশের জনগণকে দশ বছর গোলাম করে রাখেন। 

শিক্ষা আন্দোলন ১৯৬২ সালে, বাঙালি জাতি ১৯৬৬ সালে।


পাকিস্তানিদের বৈষম্যমূলক নীতি;

পাকিস্তান গঠনের পর থেকেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির প্রতি বৈষম্য শুরু করে। 

তারা এদেশের মানুষকে দমন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে। 

পাকিস্তানিরা বাঙালিদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে তেমন সুযোগ দেয়নি। 

জাতীয় বাজেটের সিংহভাগ বরাদ্দ ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে। 

এছাড়া বাঙ্গালী অফিসারদের মাত্র পাঁচ শতাংশ সেনাবাহিনীতে ছিল। 

আর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি কখনো বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা দিতে চাননি। 

উল্টো তাকে নির্যাতন করে দমন করতে চেয়েছিল।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব:

বাঙালি জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও জনপ্রিয়তা পাকিস্তানি শাসক শ্রেণীকে পরাজিত করে। 

১৯৪৮ সালে তিনি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। 

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তাঁর অবদান অতুলনীয়। 

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন। 

এরপর 1958 সালে আইয়ুব খান সামরিক আইন জারি করে বাঙালি জাতিকে দখল করতে শুরু করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য ৬ দফা দাবি পেশ করেন।


কিন্তু পাকিস্তানি শাসক শ্রেণী তা প্রত্যাখ্যান করে এবং এর নামে অপপ্রচার চালায়। 1968 সালে, ক্ষমতাসীন দল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মাধ্যমে তাকে দমন করার চেষ্টা করে। 

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানেও তার ভূমিকা অসীম। 

১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তারই প্রতিফলন। 

কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ 

সালের ৭ মার্চ ভাষণের মাধ্যমে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন ।


৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ:

1969 সালের অভ্যুত্থান সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটায়। 

এরপর ক্ষমতায় আসেন আরেক পশ্চিমা শাসক ইয়াহিয়া খান। 

তিনি ক্ষমতায় আসেন এবং গণআন্দোলনের কারণে জাতীয় পরিষদের জন্য নির্বাচন করতে বাধ্য হন। 

এই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। 

আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্রের নীতি অনুযায়ী ক্ষমতা পেতে হবে। 

কিন্তু পাকিস্তানি শাসক শ্রেণী কখনই বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে প্রস্তুত ছিল না।

 তারা সব সময় চেয়েছিল বাঙালি তাদের পুতুল হোক। তাই তারা গণতন্ত্র হত্যার জঘন্য খেলায় লিপ্ত। 

তিনি কোনো কারণ ছাড়াই গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেন। এর বাইরে বাঙালি জাতির ওপর শুরু হয় দমন-পীড়ন।


সারা বাংলায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। 

গণতন্ত্র রক্ষায় বাঙালি জাতি আন্দোলনে নামে। 

আর এই প্রেক্ষাপটে বাঙালির প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার 

রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান শেহরাওয়ার্দী গার্ডেন) প্রায় লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে ১৮ মিনিটের 

ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। 

, এই ভাষণটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। 

যা পরবর্তীতে বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের মূল দিকনির্দেশনা হিসেবে ভূমিকা রাখে। 

নিচে এই ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরা হলো:


সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা:


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণের শুরুতে পাকিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। 

তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংস নৃশংসতার কথা তুলে ধরেন। 

গণতন্ত্রের বিজয় হলেও পাকিস্তানি শাসকরা তা না মেনে বাঙালি নিধনে যোগ দেয়; যা বাংলার মানুষ কখনো মেনে নেয়নি। 

তাই তিনি বলেছিলেন, 'আজ বাংলার মানুষ স্বাধীনতা চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তাদের অধিকার চায়।'


বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ও অবস্থানের ব্যাখ্যাঃ


শান্তিবাদী নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু বারবার আলোচনার মাধ্যমে সংকট মোকাবেলা করতে চেয়েছিলেন। 

আর তার স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল বক্তৃতায়ও। 

কিন্তু পাকিস্তানি শাসক শ্রেণী তা উপেক্ষা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে। 

ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন। 

কিন্তু তার কোনো যৌক্তিক দাবি ক্ষমতাসীন দল মেনে নেয়নি। 

উল্টো দমন-পীড়নের মাধ্যমে বাঙালি নিধনে লিপ্ত ছিল।


পাকিস্তানি রাজনীতিবিদদের ভূমিকা:


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য জাতীয় কাউন্সিলের বারবার অধিবেশনের 

মাধ্যমে পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সাথে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। 

কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকশ্রেণী কখনোই তা সমর্থন করেনি। 

কারণ তাদের উৎখাত হওয়ার ভয় ছিল। 

তাই ইয়াহিয়া খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রমুখ নানাভাবে আলোচনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। 

তারা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তার নামে নানা ধরনের অপপ্রচার শুরু করে।


সামরিক আইন প্রত্যাহারের আহ্বান:


১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সামরিক আইন জারি করে বাংলার মানুষকে জিম্মি করে। 

তারা ভেবেছিল বাঙালিদের অস্ত্র দিয়ে দমন করা হবে।

কিন্তু বঙ্গবন্ধু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর এই হীন প্রচেষ্টা উপলব্ধি করেন এবং এর তীব্র বিরোধিতা 

করেন।

 তিনি এই ভাষণের মাধ্যমে সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবি জানান।


নির্যাতন এবং সামরিক হামলার বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান:


একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বেপরোয়া হয়ে ওঠে, বাঙালিকে হত্যা করে। 

তারা মনে করত বাঙ্গালীরা কাপুরুষ জাতি। তাই অস্ত্র দিয়ে তাদের দমন করুন। 

বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানীদের এই অশুভ নীতি বুঝতে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

৭ই মার্চের ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন, প্রতিটি ঘরে ঘরে দুর্গ তৈরি করতে হবে। 

জীবনের পথে আপনাকে অবশ্যই শত্রুর সাথে লড়াই করতে হবে আপনার যা কিছু আছে এবং 

আপনার যা কিছু আছে - আমি যদি আদেশ দিতে না পারি তবে আপনি থামবেন।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। 

কারণ আন্দোলন ছাড়া বাংলার মানুষ কখনোই স্বাধীনতা পাবে না। 

তাই এই ভাষণে তিনি সকলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শান্তিপূর্ণ ধর্মঘটে যাওয়ার আহ্বান জানান। 

এ ছাড়া সব ধরনের কর না দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। সবাই সরকারি অফিস-আদালত বন্ধের দাবি জানায়। আন্দোলনের নির্দেশ দেন।

 

অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সম্প্রীতির আহ্বান:

একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন যে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ধর্মের ভিত্তিতে এদেশের মানুষকে আলাদা করার চেষ্টা করবে। 

তাই এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি বাঙালি জাতিকে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে ঐক্যবদ্ধ চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

 নিগ্রার উপর হামলা বন্ধ করার আহ্বান:

পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী এদেশের মানুষকে চিরকাল দাসত্বে রাখতে চেয়েছিল। 

তাই তারা নির্যাতনের বিভিন্ন পন্থা বেছে নেয়। তারা ভেবেছিল অস্ত্রের আগে এদেশের মানুষকে চির দাস বানিয়ে ফেলবে; 

যা বঙ্গবন্ধু অনুভব করেন এবং এই ভাষণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে এর বিরোধিতা করার আহ্বান জানান।

স্বাধীনতার আহ্বান:

ই ভাষণ শেষে তিনি স্বাধীনতার ডাক দেন। বক্তৃতা শেষে তিনি বলেন,

‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’

এই সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।"


বক্তব্যের পরের অবস্থা:

আবেগ, বক্তব্য ও দিকনির্দেশনায় এই ভাষণটি ছিল অনন্য। 

যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালি জাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। 

মূলত বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকে তাকিয়ে ছিল। পরোক্ষভাবে সেদিন তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। 

আর ভেতরে ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের পুরো প্রস্তুতি চলছিল। উজ্জ্বল বাঙালিরা তখন জয় বাংলা স্লোগানে উজ্জীবিত হয়েছিল।

৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব স্বীকৃতি:

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তা ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতার মন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের মূল শক্তি। 

এই ভাষণটি মোট 12টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। এই ভাষণের জন্য নিউজউইক ম্যাগাজিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। 

30 অক্টোবর, 2017-এ, ইউনেস্কো এই ভাষণটিকে 'ডকুমেন্টারি হেরিটেজ' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ইউনেস্কো সারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নথি সংরক্ষণ করে। 7 মার্চের ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারের স্মারক

ভাষণসহ মোট ৪২৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করা হয়েছে।

উপসংহার:

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে একটি মহাকাব্য রচিত হয়। 

আর এই মহাকাব্যের রচয়িতা হলেন বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তাদের হাত থেকে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা এসেছে। 

১৯৭১ সালে তার এই ভাষণ শোষিত বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিল। স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনেন।