বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি


প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকেই বিজয় দিবসের কবিতার প্রচ্ছদ সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন। 

আজকের প্রবন্ধে আমি আপনাদের জন্য মহান বিজয় দিবস নিয়ে কিছু বিখ্যাত কবিতা সংগ্রহ করেছি। আজ সব কবিতা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।


মূলত, আপনি মহান বিজয় দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই কবিতাগুলি ব্যবহার করতে পারেন। 

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর যখন আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীন হলো, তখন অনেক কবি বাংলাদেশ বা বিজয় দিবস নিয়ে নানা ধরনের কবিতা লিখেছেন।


বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি
বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি


সে সময় বাংলাদেশে আনন্দের ঢেউ বইছিল এবং সবাই এত খুশি যে সবাই ঘরে ঘরে ঈদের মতো এই দিনটি উদযাপন করেছিল। 

বাংলাদেশেও ১৬ই ডিসেম্বর প্রতিটি ঘরে ঘরে পালিত হয় মহান বিজয় দিবস। আজ আমরা আপনাকে বিস্তারিতভাবে বলব যে আপনি এই দিনে কোন কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন।


বিজয় দিবসের কবিতা তৈরির নিয়ম


আমরা অনেকেই কবিতা লিখতে পছন্দ করি।

যারা এই ধরনের কবিতা লিখতে ভালোবাসেন তারা সবসময় এটি তৈরি করার চেষ্টা করেন।


আপনি যদি কবিতা খুব পছন্দ করেন এবং আপনি যদি কবিতা লিখতে পছন্দ করেন তবে আপনি বিজয় দিবসের কবিতাও করতে পারেন।

আপনাকে আপনার বিজয় দিবস সম্পর্কে কিছু বিশদ অন্তর্ভুক্ত করতে মনে রাখতে হবে যা আপনার কবিতার সাথে মানানসই।

অর্থাৎ বিজয় দিবস নিয়ে আপনি কোন কবিতা লিখেছেন তা মানুষ বুঝতে পারবে।

বাঙালিরা এত সহজে এই জয় পায়নি। এই একটি জয়ের জন্য দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করতে হয়েছে।

এই ৯ মাসে বাঙালি ৩০ লাখ মানুষকে হারিয়েছে, বুদ্ধিমান মানুষকেও হারিয়েছে।

তাই আপনি আপনার কবিতার ছন্দে এই সব জিনিস আনতে পারেন।


বিজয় দিবসের কবিতাটি কীভাবে কভার করবেন?


আমরা সবাই জানি মহান বিজয় দিবস আমাদের দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিনে শহীদদের মুছে দিয়ে কবিতা আবৃত্তি করার চেষ্টা করতে হবে।


বাংলাদেশের বিজয় দিবস কবে ?


১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস।


বিজয় দিবসের কবিতা


   বিজয় দিবস

( মাশায়েখ হাসান )


৭১’এর এই দেশেতে

হানাদার হানা দেয়।

দেশকে স্বাধীন করতে বাঙ্গালী

অস্ত্র তুলে নেয়।



৭১’এর এই দিনেতে

হয় সীমাহীন যুদ্ধ।

যার কাহিনী শুনলে মোদের

শ্বাস হয়ে যায় রুদ্ধ।


৩০ লক্ষ শহীদ আর

মা-বোনের বিনিময়।

স্বাধীন বাংলাদেশ এর ঘটে

উদার অভ্যূদয়।



বিজয়ের দিন

( তাসনিয়া আহমেদ )


বাংলাদেশে পাক-শাসনের আসন যেদিন টলে,

সেদিনটাকে আজকে সবাই ‘বিজয় দিবস’ বলে।

বিজয় কিন্তু অনেক দামী; সহজলভ্য নয়।

মুক্তিসেনা বিজয় আনে জয় করে সব ভয়।



লাল সবুজের পতাকাটার আজকে খুঁটি শক্ত;

আনতে সেটা,বীর সেনারা দিয়েছিলো রক্ত।

বাংলা মায়ের বীর ছেলেরা ভয় পায়না মোটে।

তাদের ত্যাগে মোদের মুখে বিজয় স্লোগান ফোটে।



বিজয় দিবস রক্তে ধোয়া,বীর শহীদের স্মৃতি।

বিজয় নিয়েই আজকে লেখা-কবিতা আর গীতি।

বিজয় মাখা ফুলে-পাতায়,বিজয় সবুজ ঘাসে।

বছর ঘুরে এদিন যেন বারে বারে আসে!


পাগলী মা’টা

( জনি হোসেন )


ফিরে এল বিজয় দিবস

নেইতো খোকা ঘরে,

সেই যে গেল আর এলোনা

যুদ্ধে একাত্তরে।



স্বপ্ন বোনে পাগলী মা’টা

ফিরবে খোকা কবে,

ফুলেল মালা গলে দিবে

ফুল ঝরে যায় টবে।


ছেলে আসবে,আসবে ছেলে

পাগলী মা’টা চ্যাঁচায়,

পাগলী মা’টা রুক্ষ সুক্ষ

যত্ন নিতে কে চায়?



প্রতিবারে বছর শেষে

বিজয় যখন আসে,

ছেলে হারা পাগলী মা’টা

দাঁত খিলিয়ে হাসে।



১৬ ই ডিসেম্বর

( তানজিম এ আল আমিন )


বছর ঘুরে আবার এলো ষোলই ডিসেম্বর

বিজয় গানে উঠলো মেতে মানুষ আপামর।


একাত্তর এর সেই সে বিজয়

করলো স্বাধীন সকল হৃদয়

শোষন ত্রাসন করলো বিদায়

করলো নতুন সূর্য উদয়


সেই সূচনায় আমরা সবাই স্বাধীন নিরন্তর,

বছর ঘুরে আবার এলো ষোলই ডিসেম্বর।



১৬ই ডিসেম্বর

( অন্তু সরকার প্রণব )


১৬ই ডিসেম্বর এলে

মনটা আমার কেমন কেমন করে

সোনার ছেলেরা যে যুদ্ধে গিয়ে

আর ফেরেনি ঘরে।



পাক হানাদারদের ওই হাতে

মরলো মানুষ দিনে রাতে

দেশের জন্য জীবন দিয়ে

শহীদ হলো তারা তাতে।


নয় মাস যুদ্ধ করে

সব হানাদার হলো শেষ

সৃষ্টি হলো এক নতুন দেশের

দেশের নামটি বাংলাদেশ।


এই বিজয়ের মাঝেও যে

অনেক কষ্ট আছে

জীবন দিয়ে লাখো মানুষ

শহীদ হয়ে গেছে।


৪২ বছর পরে এসে

ষোলই ডিসেম্বরে

দেশকে মোরা কী দিয়েছি

দেখি হিসাব করে।


দেশের মানুষ থাকুক ভালো

মিলিয়ে কান্না হাসি

আসো সবাই একটু হলেও

দেশকে ভালোবাসি।


বিজয় ডিসেম্বর

( সিফাত আহমেদ )


লাল সবুজের স্মৃতি ঘেড়া নিশান আমার উড়ে।

কিনেছিলাম রক্ত দিয়ে বিজয় ডিসেম্বরে।

মাগো তোমার চোখের জলে,

জয় বাংলা ধ্বনি তুলে,

হাজার ছেলে প্রাণ দিল ঐ নতুন আশার ভোরে।

রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।


মাগো তুমি হায়েনা ভয়ে কাঁদছ দেখে তাই।

তোমার ছেলে ঘর ছেড়েছে তোমায় দিতে ঠাঁই

বিশ্বমাঝে উচ্চাসনে,

পাক বাহিনীর নির্যাতনে,

আর হবেনা শোষন এবার তোমার আপন ঘরে।

রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।